বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত ‘উখিয়ায় দরগাহ শরিফে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় উত্তাল দরগাহবিল’ শিরোনামে সংবাদটি আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সংবাদে বলা হয়েছে উখিয়ার দরগাহবিলে দীর্ঘ ৮০ বছরের পুরনো হযরত খামশের আলী শাহ (রঃ) দরগাহ শরিফে ব্যক্তি বিশেষের পূর্বশক্রুতার জের ধরে গত ২২ মে গভীর রাতে দরগাহ শরিফে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। সেখানে আমাদেরকে সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী আখ্যা দিয়ে যে শব্দ গুলো ব্যবহার করা হয়েছে তা কোন ভাবে সভ্য ব্যক্তির ভাষা হতে পারে না। প্রকৃতপক্ষে আমরা কেহ এধরনের কর্মকান্ডে জড়িত নয়। আমরা দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি সম্মান রেখে জীবন-যাপন করে যাচ্ছি।
মূলত ঘটনা হচ্ছে-পূর্ব দরগাহবিল দক্ষিণ পাড়া শাহী জামেমসজিদ সংলগ্ন করবস্থানের ৪ একর ৮০ শতক জমির খতিয়ান থাকলেও স্থানীয় শামশুল আলমের দখলের রয়েছে ৮০ শতকের বেশি জমি। অথচ সেখানে কোন ধরনের দরগাহ বা অন্যকোন কিছুর জায়গা নেই। কিন্তু স্থানীয় শামশুল আলম দরগাহ নাম দিয়ে জায়গাটি জবর দখল করে এতে ঘর-বাড়ি তৈরির পায়তারা করে আসছে। সে নিজেকে করবস্থানের দাতা পরিচয় দিলেও সে কোন ধরনের দাতা নয়। সম্প্রতি সে কবরস্থানের জায়গা দখলে নেওয়ার জন্য বাউন্ডারি ভেঙ্গে আজগুবি এক আওলিয়ার নাম দিয়ে সরকার বা কবরস্থান পরিচালনা কমিটির কোন অনুমোদন না নিয়ে জোরপূর্বক দরগাহ তৈরি করে রাখে যদিও বা কবরস্থানে দরগার কোন জায়গা নাই। কয়েকদিন আগে সে আরো কিছু কবরস্থানের জায়গা দখল করতে চাইলে এলাকার জনপ্রতিনিধিগণ, প্রশাসন, মসজিদ কমিটি, কবরস্থানের পবিত্রতা রক্ষার্থে কমিটি ও এলাকার সুশীল সমাজ তাকে বাধা প্রদান করেন। কিন্তু সে কারো কথা না শুনে জোর করে কবরস্থানের মাঝখানে সেমিপাকা দরগাহ তৈরি করতে জোর চেষ্টা চালায়। এতে ব্যর্থ হয়ে রাতের আধাঁরে অভিযোগকারী নিজে এসব ভেঙ্গে দিয়ে এলাকার শান্তি-প্রিয় মানুষদেরকে ফাঁসাতে চেষ্টা চালাচ্ছে। অন্যদিকে সে সংবাদকর্মী ভাইদের মিথ্যা তথ্যদিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্ঠা করছে। আমরা এ ধরনের ভিত্তিহীন বানোয়াট সংবাদে কর্ণপাত না করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও পাঠক ভাইয়ের অনুরোধের পাশাপাশি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী
ফজলুল করিম, পিতা-নুরুল ইসলাম
আবুল হোসেন,পিতা-আজমত আলীর
জালাল আহমদ, পিতা-কবির আহমদ
উভয় সাং-দরগাহবিল,রাজাপালং,উখিয়া।