উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জেলা পর্যায়ে আবারো শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন এবং উখিয়া থানা শ্রেষ্ঠ থানা হিসাবে মনোনীত হয়েছেন। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় বারের মত উখিয়ার ওসি ও থানা জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠতা অর্জন করেন।
গত রোববার জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে মাসিক অপরাধ মূলক পর্যালোচনা সভায় উখিয়ার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অবদান ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সহ সার্বিক বিবেচনায় জেলার শ্রেষ্ট ওসি উখিয়া ও শ্রেষ্ঠ থানা হিসেবে উখিয়া থানাকে ঘোষণা করেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার।
ক্রাইম কনফারেন্সে জেলার প্রতিটি থানার মাসিক পারফরম্যান্স পর্যালোচনায় উঠে আসে ওয়ারেন্ট তামিল, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, ইয়াবা গডফাদার গ্রেফতার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং সার্বিক কার্যক্রমের ভিত্তিতে উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী তাঁর কাজের দক্ষতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি কঠোর ভুমিকা রেখেছেন। ফলস্বরূপ পেলেন শ্রেষ্ঠত্ব।
এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম।সভায় জেলার শ্রেষ্ট ওসি হিসাবে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলীকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলার ক্রাইম কনফারেন্সে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডমিন) রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ (মহেশখালী), জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সহ উর্ধতন কর্মকর্তা বৃন্দরা।
ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, গত কয়েক দিন পূর্বে রেজুখালে একটি মহিলার লাশ পাওয়া যায়। ভিকটিম এর স্বামী, শ্বশুরবাড়ির লোকজন থানায় ফোন করে জানান যে, একটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে । ভিকটিম এর মা,শ্বশুর সবাই বিনা ময়না তদন্তে লাশ দাফনের আবেদন করেন। কিন্তু থানায় ভিকটিম এর স্বামী না আসাতে আমার সন্দেহ হওয়ায় কৌশলে স্বামী কে থানায় নিয়ে আসি। দীর্ঘ সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ভিকটিমের স্বামী স্বীকার করে যে,সে তার স্ত্রীকে নৌকা থেকে ধাক্কা মেরে রেজুখালে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে।ভিকটিমের খালাতো বোনের সাথে ভিকটিমের স্বামীর পরকীয়া প্রেম ছিলো। প্রেমিকার প্ররোচনায় ভিকটিমের স্বামী ভিকটিম কে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায়।
তাৎক্ষণিক আমি সঙ্গীয় ফোর্স সহ কৌশলে আসামির প্রেমিকাকে গ্রেফতার করি। ভিকটিমের স্বামী আদালতে ১৬৪ কাঃবিঃ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। প্রত্যক্ষদর্শী তিনজন রোহিঙ্গা শিশুও সাক্ষী হিসেবে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে।ভিকটিম রোহিঙ্গা। সে ছিলো পরিবারের একমাত্র সন্তান। ভিকটিমের একটি দেড় বছরের কন্যা সন্তান আছে।
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসেও জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছিলেন উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী। এদিকে কক্সবাজার জেলার শ্রেষ্ট ওসি (তদন্ত) হিসাবে মনোনীত হয়েছেন উখিয়া থানার বিপুল চন্দ্র দে।