বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১০:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
ওই পারে নবী হোছন এ পারে বাবুল : নিরবে পাচার হচ্ছে মাদক,সোনা বিলুপ্তির পথে পাহাড়ি বনাঞ্চল:রক্ষার্থে নেই কোন পদক্ষেপ সীমান্ত সাংবাদিকদের দক্ষতা উন্নয়নে উখিয়ায় কর্মশালা হাসি মুখ ফাউন্ডেশন এর ৫ম বর্ষপূর্তি উদযাপন সম্পন্ন পালংখালীতে নিহত লুলু আল মরজানের কন্যা রাহমিনা মমতাজের সাংবাদিক সম্মেলন প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা! উখিয়া’র পাতাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিদায় ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। ঈদগাঁও খালে নিখোঁজের ৬ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার। লামায় যথাযথ মর্যাদায় জন্মাষ্টমী পাল। উখিয়া’র কোটবাজারে বিএনপির ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

উখিয়ার চিহ্নিত মাদক কারবারী আবুল হাসেম ফের-বেপরোয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২৬৮ বার
আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৩
মাদক কারবারি

* কালো টাকা সাদা করতে খুলে বসেছে ওষুধের ফার্মেসী।

 

* রোহিঙ্গাদের দিয়ে অবৈধ ব্যবসা।

 

* মাদকসহ একাধিকবার আটক হয়।

 

* কুতুপালং জোয়ার আসর নিয়ন্ত্রক হিসাবে তার ভুমিকা অপরিসীম।

 

 

উখিয়া কুতুপালং এলাকার মৃত ইমাম উদ্দিনের ছেলে চিহ্নিত মাদক কারবারী আবুল হাসেম জোয়া ও মাদক কারবারিতে ফের-বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা কুতুপালংয়ে জোয়া,মাদক কালোবাজার, মায়ানমারের চোরাইপন্য ও বিভিন্ন অবৈধ কারবারির রাজধানী হিসাবে পরিচিত হয়েছে কুতুপালং এলাকাটি।

সেখানে মায়ানমারের অবৈধ চোরাইপন্যের ব্যবসা করে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়া অসংখ্য কারবারির মধ্যে প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা ও জোয়ার আসর বসিয়ে সফল হয়েছেন ঐ এলাকার আবুল হাসেম উরপে ইয়াবা হাসেম।

জানা যায়, এই চিহ্নিত মাদককারবারী আবুল হাসেম মাদক নিয়ে র‍্যাবের হাতে বেশ কয়েকবার আটক হয়। হাজত থেকে বের হয়েও থেমে নেই ইয়াবা ব্যবসা ও তার এসব কালোবাজারি। বর্তমানে তার কয়েকটি মাদক মামলাও রয়েছে। তিনি বর্তমানে কুতুপালং পালং-জেনারেল হাসপাতালের পূর্বপাশে একটি ওষুধের ফার্মেসী খুলে বসেছেন। যেটি শো-আপ দিয়ে নিরবে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে নিতে পারে। মাঝে মধ্যে দোকানটি খুললেও নিয়মিত বন্ধ রেখে মাদক ব্যবসা ও জোয়ার আসরে বেশি সময় দেন তিনি।

তাঁর মাদক ব্যবসার কালো সাদা করতে শো’ দিয়েছেন ওষুধ ফার্মেসীর দোকান ঘরটি এমন মন্তব্য করেন স্থানীয়রা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যাক্তি জানায়, আগে এক সময় মাদকবিরোধী অভিযান হতো নিয়মিত তখন তারা এত বেপরোয়া ছিল না। টেকনাফের বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপকান্ডের পর থেকে কুতুপালংয়ে আবারো নব্য এবং পুরাতন কিছু মাদক ব্যবসায়ী প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক ও কালোবাজারিতে সক্রিয় হয়েছে। যদিওবা প্রশাসন অনেক কারবারিদের আটক করে যাচ্ছে। এর মধ্যে আবুল হাসেমের মতো কিছু কারবারি অদৃশ্যভাবে আড়াল থেকে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নিরবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, আবুল হাসেম বর্তমানে মাদক ও কালোবাজারিতে খুচরা এবং বড় চালান পাচারে বড় একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। সেই সিন্ডিকেটে রয়েছে লম্বাশিয়া ক্যাম্পের কয়েকজন রোহিঙ্গাসহ স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তিরাও।

শুধু তাই নই আবুল হাসেমের নেতৃত্বে তার মালিকানাধীন ফার্মেসীর পূর্বপাশে রাত-বিরেতে বসে বিশাল জোয়ার আসর। যদিও আবুল হাসেম এসব থেকে ধরাছোঁয়ার বাহিরে কিন্তু রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে সব কল-কাটি নাড়াচ্ছেন এই আবুল হাসেম।

 

গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে এসকল তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে মন্তব্য করেন স্থানীয়রা।

 

এদিকে চিহ্নিত মাদক কারবারী আবুল হাসেমের সাথে অনুসন্ধানী টিমের প্রতিবেদকেরা একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার মুবাইল বন্ধ থাকা এবং তাকে সরাসরি না পাওয়ায় বক্তব্য নিতে ব্যার্থ হয়।

প্রশাসনের একাদিক সুত্রমতে, বর্তমানে কুতুপালং কালোবাজারি,জোয়াড়ী, মাদকাসক্ত, বিভিন্ন অবৈধ কারবারিতে ভরে গেছে এলাকাটি। এর প্রধান কারণ রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে কঠিন হয়ে পড়েছে। যেদিকে যায় সেদিকে রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরণ, কাটা তার পর্যন্ত মানতেছে না তারা। ফলে তারা স্থানীয় লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে, এতে রোহিঙ্গা স্থানীয়দের সাথে আঁতাত করে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসায় জড়িত হচ্ছে ।

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
%d bloggers like this:
%d bloggers like this: