নিজস্ব প্রতিবেদক, উখিয়া
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকুরির সুবাদে ছেলের সাথে পরিচয় এক এনজিও কর্মি নারীর। একে অপরের মন দেয়া নেয়ার এক পর্যায়ে আসম বিয়ে। ধিরে ধিরে উভয়ের মধ্যে ভুলবোঝাবুঝি সংসারে ফাটল। স্ত্রীর কারনে স্বামী নিরুদ্দেশ ।স্ত্রী এনজিও কর্মি সাথী এখন শ্বাশুড় শ্বাশুড়ির মাথার উপর ভর করে বসে আছে ঘাড় মটকাবে বলে। তার একটাই দাবী স্বামী খাইরুল আমিন কে এনে দিতে হবে। এই দাবী নিয়ে এসে প্রতিদিন শ্বশুর বাড়ির লোকজনের উপর হামলা মারধর সহ বাড়ি ভাংচুরের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন উক্ত পরিবারের লোকজন। সম্প্রতি এমনই নেক্কারজনক হামলা চালিয়ে শ্বাশুড়ি ও অপর পুত্র বধু কে গুরুতর আহত করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে ঐ এনজিও কর্মি পুত্র বধু সাথী। বাধা দিতে গেলেই নারী নির্যাতন সহ নানান ভাবে হয়রানি মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখাচ্ছে এ নারী। এদিকে পিতা অসহায় নুরুল হকে একই প্রশ্ন তার ছেলে খাইরুল আমিন কোথায়? ঘটনাটি ঘটেছে উখিয়া উপজেলা উপকূলীয় ইউনিয়ন জালিয়াপালং এলাকায়।
উখিয়ায় পুত্র বধুর অমানবিক নির্যাতন ও হামলার ঘটনা এখন এলাকাবাসীর মূখে মূখে। পুত্র বধু নুসরাতের এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে শাশুড়ী মনোয়ারা বেগম ও অপর পুত্র বধু জান্নাতুন ফেরদৌস সহ অন্তত ৩ জন। জানা যায়, উখিয়া উপজেলাধীন জালিয়াপালং উত্তর নিদানিয়া ইনানী গ্রামের নুরুল হকের পুত্র খাইরুল আমিন কুতুপালং রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে চাকুরী করার সুবাদে পরিচয় পরবর্তী প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে খাইরুল আমিনের মধ্যে পরস্পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে দক্ষিণ মাইজপাড়া ঈদগাও এলাকার জয়নাল আবেদিনের মেয়ে নুসরাত জাহান সাথী নামক এক এনজিও কর্মীর সাথে। পরবর্তিতে পরিবারের অজান্তে উভয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে খাইরুল আমিনের পিতা নুরুল হক তাদের অমতের বিবাহ মেনে নিতে অস্বীকার করলে তারা উভয়ে ভাড়া বাসা নিয়ে স্বামী স্ত্রী রূপে বসবাস করে আসছিল। সম্প্রতিক সময়ে স্ত্রী নুসরাতের বেপরোয়া আচরণের কারনে উভয়ের মধ্যে ভুলবোঝাবুঝি ও সংসারে ফাটল সৃষ্টি হলে স্বামী খাইরুল আমিন ক্ষোভে দুঃখে সকলের অজান্তে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। এদিকে স্বামী খুঁজে নুসরাত শ্বাশুর নুরুল হকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজন কে নানান ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ হামলা ভাংচুর শুরু করে। বেগতিক দেখে শ্বাশুর নুরুল হকে পুত্র বধু নুসরাত সহ ৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুত্র বধু নুসরাত আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং শ্বশুর বাড়ির লোকজনের উপর হামলা নির্যাতনের মাত্রা অধিক হারে বাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। অসহায় নুরুল হক বলেন, নুসরাত নামক মেয়েটি আমাদের অজান্তে আমার ছেলে খাইরুল আমিন কে বিবাহ করে। মেয়েটির বেপরোয়া আচরণের কারনে আমি তাদের এ বিবাহ মেনে নিতে বাধ্য ছিলাম না। তারা ভাড়া বাসা নিয়ে স্বামী স্ত্রী রূপে বসবাস করে আসছিল। মেয়েটির বেপরোয়া চলাফেরার কারনে উভয়ের মধ্যে হয়তো ভুলবোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে এবং আমার ছেলে খাইরুল আমিন ক্ষোভে দুঃখ হয়তো নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে। এখানে আমার কিছু করার নেই। তারা যখন ভালবেসে বিবাহ করেছিল তখন আমাকে প্রয়োজন হয়নি। এখন কেন স্বামীর খুঁজ নিয়ে আমার পরিবারের লোকজনের ঘুম হারাম করার কোন অধিকার তার নেই। আমি পুনরায় তার বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি পাশাপাশি প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।