উখিয়া কেন্দ্রীক মোটরসাইকেল চোরাই সিন্ডিকেটের মুলহোতা সিকদার বিলের ওমর ফারুক ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। জেনুইন গাড়ি দেওয়ার নামে চোরাই গাড়ি দিয়ে প্রতারণা করেছে অনেকের সাথে অভিযোগ তুলেছেন একাধিক ভুক্তভোগী।
জানা যায়, উখিয়া সিকদার এলাকার মো: হানিফের ছেলে ওমর ফারুক ছিল সামান্য গ্যারেজ ম্যাকানিক।
তাঁর এই গ্যারেজের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে কক্সবাজার তথা পুরো উখিয়াতে গড়ে তুলেছে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসা বর্ডারক্রস মোটরসাইকেলের বিশাল সিন্ডিকেটে। শুধু তাই নই বিভিন্ন এলাকা হতে চুরি হওয়া গাড়িও মিলে তার গ্যারেজে। সম্প্রতি এমন এক ঘটনা ঘটেছে তার বাড়িতে।
কক্সবাজার কলাতলীর মিজান নামে এক ব্যাক্তির মালিকানাধীন ১,৬০,০০০/ হাজার টাকা মূল্যের কক্সবাজার ল- ১২-০৮১৫ নং সুজিকি জিক্সার গাড়িটি হারিয়ে গেলে থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর একটি সংস্থার মাধ্যমে ফারুকের বাড়ি হতে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়।
অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ফারুখ শুধু বর্ডার ক্রস গাড়ি আনা ছাড়াও বিভিন্ন চোরাই কাজে নিজেকে জড়িয়ে কালো জগতে রাজত্ব করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। তার রয়েছে বিভিন্ন জেলার চোরাই কারবারিদের সখ্যতা। সে গ্যারেজ ম্যাকানিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে চুরি হওয়া মোটর সাইকেল ক্রয় করে মোডিফাইর মাধ্যমে বেচা বিক্রি করেন। চোরাই গাড়ির নাম্বার চেইঞ্জ, নকল ডিজিটাল নাম্বার প্লেটসহ একাধিক কাজে ডুপ্লি করে তার গ্যারেজটি রীতিমতো আলোচনায় আসে। এছাড়াও সে মাদক পাচারের সক্রিয় সদস্য হিসাবেও এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে। এসব অপকর্মের দায়ে পুলিশ তাকে বেশ কয়েকবার আটকও করেছিলেন। কয়েকদিন জেল হাজতে থাকার পরে বেরিয়ে এসে আবারো শুরু করেন এসব অপকর্ম।
কলেজে পডুয়া এক ছাত্র জানাই, টাকা কম দেখে আমি ফারুখের কাছ থেকে একটি বর্ডারক্রস গাড়ি কিনে অনেক বড় বিপদে পড়ে গেছি। গাড়িটি বর্ডারক্রস বলে আমাকে চোরাই গাড়ি দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুতুপালং এলাকার এক ব্যবসায়ী জানায়, বাজার মূল্য থেকে ১ লাগ টাকা কম দামে বর্ডারক্রস এমটি-৪ গাড়ি এনে দেওয়ার কথা বলে ২ লাগ টাকা অগ্রিম নিয়ে উদাও হয়ে যান। অনেক খোজাঁখুজির পর তাকে বেধে রেখে টাকা আদায় করতে হয়।
উখিয়ার অসংখ্য মানুষের অভিযোগ, ফারুখ নামে ছেলেটি সস্তা দামের গাড়ি বিক্রি করার কথা বলে বিভিন্ন এলাকার চোরাই গাড়ি এনে প্রতারণা করেছে।
সচেতন মহলের দাবি, এই ফারুখ কে আইনের আওতায় এনে এসব অপকর্মের দায়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হউক। অন্যতায় এমন কর্মকান্ডে আরো বহু মানুষ জড়িয়ে পড়বে। একজনে শিক্ষা দিলে বাকিরা এসব করতে ভয় পাবে।
এসব ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ফারুকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি এক সময় ব্যবসা করতাম এখন করি না। চোরাই গাড়ির বিষয়ে আমি জানি না। আমাকে কেউ গাড়ি বিক্রি করলে আমি নিচ্ছি। সেটা চোরাই গাড়ি নাকি জেনুয়াইন গাড়ি আমার দেখার বিষয় নই। গাড়ি দেওয়ার কথা বলে মানুষ থেকে টাকা নিয়েছেন এগুলা ফেরত দিয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার সাথে কিছু লেনদেন ছিল। সব টাকা দিয়ে দিছি। এখন কেউ টাকা পাবে না।
উখিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ আরিফুর হোসাইন জানিয়েছেন, এমন অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ দিলে তদন্তপুর্বক তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।