রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
উখিয়ার ঘাটে রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর তাণ্ডব: পারিবারিক বিরোধের জেরে রক্তাক্ত সংঘর্ষ যেকোনো সময় সচল করা হতে পারে আ.লীগের কার্যক্রম: ড. ইউনূস মাদক ছিনতাই থেকে পাচার—সবখানেই সক্রিয় পালংখালীর মঞ্জুর আলম তাঁতীলীগ নেতাকে ছেড়ে দিয়ে সংবাদকর্মীকে গ্রেফতার করলেন উখিয়ার ওসি! কক্সবাজারে শিক্ষিকা ধর্ষণ মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন জাতিসংঘে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস অভিযোগ, বর্জন, বিক্ষোভের ভোট, ফলের অপেক্ষা কুতুপালং বাজার ব্যবসায়ী সমিতি নির্বাচন ঘিরে আলোচনায় মোহাম্মদ ইমরান উচ্ছেদ কার্যক্রমে বাধা: ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ ১ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা পদত্যাগ করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

মাদক ছিনতাই থেকে পাচার—সবখানেই সক্রিয় পালংখালীর মঞ্জুর আলম

ডেস্ক রিপোর্ট / ৭৫ বার
আপডেট সময় : সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী সীমান্ত এলাকায় যুবদল নেতা পরিচয়ে মাদক পাচার ও মাদক ছিনতাইসহ নানা অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মঞ্জুর আলমের বিরুদ্ধে। সীমান্তবর্তী এলাকায় তার প্রভাবশালী অবস্থান ও মাদক ব্যবসায় সরাসরি সম্পৃক্ততার নানা তথ্য সামনে এসেছে।

সম্প্রতি এক লাখ পিস ইয়াবা ছিনতাই করে তা স্থানীয় বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলকে কমিশন দেওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ছে সর্বমহলে।

অভিযোগ রয়েছে, তার নেতৃত্বেই সীমান্ত এলাকা দিয়ে নিয়মিত মাদক আসা–যাওয়া হয়। তবে মাদকের মালিক পক্ষের সঙ্গে কোনো গড়মিল হলে পুরো চালান আত্মসাৎ করার ঘটনাও ঘটছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঞ্জুর আলমের একটি সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে যারা সীমান্ত দিয়ে মাদক বহন, সরবরাহ এবং বিপণনে সক্রিয়। মাদক ছিনতাই ও পাচারের মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করে এলাকায় দাপটের সঙ্গে ঘুরে বেড়াই যুবদল নেতা পরিচয়ে।

পালংখালী ইউনিয়নের কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মঞ্জুর আলম ও তার সহযোগীদের ভয়ে সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায় না। মাদক ব্যবসার টাকায় সে এলাকায় প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে।

এ সকল অভিযোগের সত্যতা জানতে কথিত যুবদল নেতা মঞ্জুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে সব অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আমার দলীয় একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমি এসবে জড়িত নেই।

এদিকে উখিয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব খাইরুল আমিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার বিভিন্ন অপকর্মের দায়ে কমিটি ভেংগে দেওয়া হয়েছে। সে এখন যুবদলের কেউ নই। সে যদি যুবদল পরিচয় দিয়ে কিছু করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রশাসনিক সুত্রে জানা গেছে, সীমান্ত এলাকায় মাদক কারবার ও ছিনতাই সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এলাকার সচেতন মহল মনে করছে, মাদক পাচার ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে যারা জড়িত, বিশেষ করে রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে যারা সীমান্তকে ব্যবহার করছে—তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

ধারাবাহিক রিপোর্টের পর্ব-১


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর