বিজিবি জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান, পিএসসি-এর নেতৃত্বে নাফ নদীর নাজিরপাড়া সীমান্ত এলাকায় নৌ-টহল পরিচালনা করা হয়। এসময় মিয়ানমারের মুংডু খাল থেকে আসা একটি সন্দেহজনক নৌকা শূন্যরেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করলে বিজিবি সদস্যরা ধাওয়া করে। পরে কৌশলে মাছ ধরার জালের ভেতর লুকিয়ে রাখা ৩০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে নৌকায় থাকা তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— আব্দুল্লাহ (৩০), পিতা: নজির আহমেদ,মো. জহির আহমেদ (৫০), পিতা: হাবিবুর রহমান, মো. কেফায়েত উল্লাহ (১৮), পিতা: নজির আহমেদ। সকলের বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের উত্তর নাজিরপাড়া এলাকায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, মায়ানমার থেকে আনা ইয়াবার চালানটি ইমান আলী নামে এক স্থানীয় পাচারকারীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা ৩০ হাজার টাকার চুক্তি করে। তবে চালানটি হস্তান্তরের আগেই তারা ধরা পড়ে। এ ঘটনায় মূল হোতা ইমান আলীকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ আসামিদের টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
বিজিবি জানায়, সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে তাদের অভিযান আরও জোরদার করা হবে।