ভাত হাই নপারি,অসুখ হলে দাবাই নপাই সারাদিন মুহুর্মুহু গুলির আবাজ, আর সয় নপারি বাংলাদেশত আসসি এই আঞ্চলিক ভাষা দিয়ে কথা গুলো বলছিলেন মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সন্তোষ বড়ুয়া।
তারা ৪ টি পরিবার মায়ানমারের ঢেকিবনিয়ার মেধা থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসেন বাংলাদেশে। তাদের সাথে চাকমা সম্প্রদায়ের আরো ৩৮ জন ছিল। বড়ুয়া পরিবারটি ছাড়া তারা কেউ আঞ্চলিক ভাষা বুঝেও না কথাও বলতে পারে না।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে বান্দরবানের ঘুমধুম বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে তারা অনুপ্রবেশ করে উখিয়া কুতুপালং হিন্দু ক্যাম্পের সামনে অবস্থান করেন। সেখানে পুলিশ এবং প্রশাসন তাদের পরিচয় শনাক্তের কাজ করতে দেখা যায়।
পালিয়ে অনুপ্রবেশ করা আরেক বড়ুয়া বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সংঘাতে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে সেখানে। প্রাণ বাঁচাতে এপারে পালিয়ে এসেছে তারা। তারা সেখানে কৃষি এবং জুম চাষ করে জীবনধারণ করতেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আজকে অনুপ্রবেশ করেছে ৫০ জন যারা তঞ্চঙ্গা সম্প্রদায়ের এবং আরো কয়েকদিন আগে ১২ জন অনুপ্রবেশ করেছে যারা বড়ুয়া সম্প্রদায়ের। এর আগে আরো ৮০০শ এর উপরে রোহিঙ্গা পালিয়ে ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) যারীন তাসনিম।
তিনি বলেন, সকালে প্রায় ৪৫ মিয়ানমারের নাগরিক অনুপ্রবেশ করেছে খবর পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে জানানো হবে তাদের জন্য সরকার কি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।