উখিয়া ধামনখালী সীমান্তের শীর্ষ মাদক কারবারি ও চোরাচালান সিন্ডিকেটের গোপন তথ্য জেনে যাওয়ায় রিদুয়ান আজিজ নামে এক সংবাদকর্মীকে পিঠিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে চিহ্নিত কারবারিদের বিরুদ্ধে।
বুধবার দিবাগত রাতে পালংখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত রিদুয়ান আজিজ নিজে বাদী হয়ে উখিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
দায়ের করা এজাহার সুত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে পালংখালী সীমান্ত দিয়ে মাদক ও চোরাচালানের গোপন রহস্যের অজানা তথ্য জেনে যাওয়ায় এলাকার শীর্ষ মাদক কারবারি ও হত্যা মামলার প্রধান আসামী মনির ও রবিউল শামীম প্রকাশ বাবুইশ্যার নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে রিদুয়ান আজিজ কে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্যোশ্যে হামলা চালিয়ে হাড়ঁ ভাংগা জখম করেছে। এজাহারে আরো উল্লেখ রয়েছে, এর আগে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনলাইন ও পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল তাদের সীমান্ত কেন্দ্রীক অপকর্ম নিয়ে। এ ছাড়াও তারা ইয়াবার বড় বড় চালান আনতে গিয়ে বিজিবির কাছে কয়েকবার ধাওয়া খাওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেও গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল। এসবের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তারা রিদুয়ান আজিজ কে হত্যা করতেই মূলত এই হামলা চালাই।
জানা গেছে, আহত রিদুয়ান আজিজ কক্সবাজার বাণী পত্রিকার উখিয়া প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। পাশাপাশি পালংখালী খতিজাতুল কোবরা (রাঃ) বালিকা মাদ্রাসার খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসাবেও কর্মরত আছেন।
আহত রিদুয়ান আজিজ আজিজ বলেছেন, পালংখালী সীমান্ত জুড়ে মনির,বাবুইশ্যা,আবু বক্করসহ তারা ৯ জনের একটি সিন্ডিকেট মাদক,চোরাচালানসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াই। এসবের খবর এলাকায় সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়লে তাদের সাথে আরো নতুন মানুষ যোগ দিতে মরিয়া হয়ে উঠে। কম পুজিতে লাভ বেশি এমন সুযোগে এলাকার মানুষ দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তাই আমি এসবের প্রতিবাদ করতে যাওয়ায় আমার কাল হয়। আমি দেশের সচেতন নাগরিক হিসাবে এসব অপকর্মে প্রতিবাদ করার অধিকার কি আমার নেই..? প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম দেশবাসীর কাছে। আমি এই ঘটনার সুস্থ বিচার দাবি করছি প্রশাসনের কাছে।
প্রধান অভিযুক্ত মনিরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এ ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, রিদুয়ান আজিজ কে মাত্র একটা তাপ্পর দিয়েছি, সে কেন আমার অসুস্থ স্ত্রীকে কল করবে। তার সাথে আমার কোন লেনদেন নেই। তার খালাতো ভাই রবিউল শামীম প্রকাশ বাবুইস্যার সাথে তার কি আছে-নাই, এসব আমি জানি না।
এদিকে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফ হোসেন বলেন, তদন্ত করে এজাহারে উল্লেখিত বর্ণনার সাথে ঘটনা সত্য হলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে অবশ্যয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।