সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
উখিয়ার ঘাটে রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর তাণ্ডব: পারিবারিক বিরোধের জেরে রক্তাক্ত সংঘর্ষ যেকোনো সময় সচল করা হতে পারে আ.লীগের কার্যক্রম: ড. ইউনূস মাদক ছিনতাই থেকে পাচার—সবখানেই সক্রিয় পালংখালীর মঞ্জুর আলম তাঁতীলীগ নেতাকে ছেড়ে দিয়ে সংবাদকর্মীকে গ্রেফতার করলেন উখিয়ার ওসি! কক্সবাজারে শিক্ষিকা ধর্ষণ মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন জাতিসংঘে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস অভিযোগ, বর্জন, বিক্ষোভের ভোট, ফলের অপেক্ষা কুতুপালং বাজার ব্যবসায়ী সমিতি নির্বাচন ঘিরে আলোচনায় মোহাম্মদ ইমরান উচ্ছেদ কার্যক্রমে বাধা: ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ ১ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা পদত্যাগ করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা যুবক নিহত

বাংলানিউজ২৪ / ১২১ বার
আপডেট সময় : সোমবার, ৮ জুলাই, ২০২৪

টেকনাফের নাফ নদীতে কাঁকড়া আহরণের সময় মিয়ানমার জলসীমার অভ্যন্তরে মাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা নিহত এবং দুইজন আহত হয়েছেন।

নৌ-পুলিশের টেকনাফ স্টেশনের ইনচার্জ পরিদর্শক তপন কুমার বিশ্বাস সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

রোববার(৭ জুলাই) টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে লালদিয়া চরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।

নিহত মো, জোবায়ের (১৯) টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় বসবাসকারী আব্দুল হামিদের ছেলে।

 

ঘটনায় আহতরা হলেন, হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকার নুর কামালের ছেলে শাহ আলম (৩০) এবং দমদমিয়া বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকার মো. মেস্তরির ছেলে মো. শুক্কুর (২৪)।

নৌ-পুলিশ জানিয়েছে, হতাহতরা সকলেই পুরাতন রোহিঙ্গা।

 

তাদের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পের বাইরে বনবিভাগের সরকারি জায়গায় বসবাস করে আসছিল।

হতাহতদের স্বজনসহ স্থানীয়দের বরাতে তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, স্থানীয় রোহিঙ্গা যুবক শাহ আলম, মো. জোবায়ের ও মো. শুক্কুর মিলে টেকনাফ উপজেলার জাদিমুরা এলাকা সংলগ্ন নাফ নদীতে কাঁকড়া আহরণ করতে যায়।

এক পর্যায়ে তারা নাফ নদীর শূন্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের লালদিয়া চর নামক এলাকায় গিয়ে কাঁকড়া শিকার করতে থাকে।

ঘটনায় আহতরা জানিয়েছে, কাঁকড়া ধরার এক পর্যায়ে কাঁদা মাটিতে পুঁতে রাখা কোন বস্তু বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে তারা তিনজনই আহত হয়। পরে তারা আহত অবস্থায় পানিতে ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের জলসীমার অভ্যন্তরে পৌঁছায়।

নৌ-পুলিশের এ পরিদর্শক বলেন,  এক পর্যায়ে কূলে পৌঁছার পর আহতদের মধ্যে শাহ আলম ও মো. শুক্কুর বাড়ি ফিরে আসলেও আঘাত গুরুতর হওয়ায় মো. জোবায়ের নদীর তীরেই রয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা মো. জোবায়েরকে উদ্ধার বাড়ি নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে সেখানে সে মারা যায়। আহত দুইজনকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তাদের সেখানে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশংকাজনক হওয়া মো. শুক্কুরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

বিস্ফোরণের ঘটনায় মো. জোবায়ের এর ডান পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে গোড়ালি পর্যন্ত সম্পূর্ণ উড়ে গেছে। তার বাম পায়ের কিছু স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া তার সঙ্গে কাঁকড়া আহরণ করতে যাওয়া শাহ আলম ও মো. শুক্কুরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে।

নিহতের লাশ নিজ বাড়িতেই রয়েছে এবং ঘটনার ব্যাপারে টেকনাফ থানা পুলিশের সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে বলে জানান পরিদর্শক তপন কুমার বিশ্বাস।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর