কক্সবাজারের উখিয়ায় দীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অবহেলিত বিভিন্ন সামাজিক অবকাঠামোতে উন্নয়নের ছোঁয়ায় প্রশংসা কুড়িয়ে ব্যাপক সাড়া পেলেছেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইসকান্দর চৌধুরী’র ছেলে সোহেল চৌধুরী।
জানা যায়, রত্নাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া মাতবরপাড়ায় বেড়ে উঠা এই সোহেল চৌধুরী তাঁর মায়ের মৃত্যুর পরে নিঃস্বার্থভাবে অবহেলিত, খেটে খাওয়া মানুষের খেদমতে তার অর্থ-শ্রম ব্যায় করে দিনযাপন করছেন।
তারই ধারাবাহিকতায়, রত্নাপালং ইউনিয়নের হাতিরঘোনা শাহ জাব্বারিয়া আদর্শ নুরানী মাদ্রাসার কোমলমতি ২০০ জন শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে যাবতীয় টুল-টেবিল,ফ্যান-পাকা অনুদানসহ বিভিন্ন উন্নয়নে আর্থিকভাবে সহযোগীতা করে ঐ এলাকার মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে বৃহত্তর চাকবৈঠার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে চাদ ঢালায়ের কাজে সিমেন্ট সংকটের খবর শুনে মুহুর্তেই ৫০ বস্তা সিমেন্ট পাঠিয়ে দিয়ে মসজিদ পরিচালনা কমিটিসহ অই এলাকায় মানুষের কাছে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সেখানেও প্রশংসায় তিনি আলোচনা সৃষ্টি করেন।
একই দিনে একই এলাকায় করইবনিয়া বাশঁবাগান পাহাড়পাড়া জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটি সোহেল চৌধুরীর কাছে মসজিদের চলমান উন্নয়নের কাজে লোহার গ্রিল-দরজার অভাবের কথা তুলে ধরলে মুহুর্তের মধ্যে তাদের এই দরজা জানালা ব্যবস্থা করার আশ্বস্ত করে ৩ দিনের মধ্যে এই দরজা-জানালা পাঠিয়ে দেন। তাঁর কথা আর কাজের বিশ্বাস দেখে ঐ এলাকার মানুষের কাছেও তিনি প্রশংসার দাবি রেখেছেন নিঃস্বার্থতার অবদানে।
এ ছাড়া বৃহত্তর ভালুকিয়া ফৈজাবাপের পাড়া জামে মসজিদে সাউন্ট স্পিকারসহ কিছু আর্থিক সংকটে ইসলামী দীনি কাজে অভাববোধ করার কথা শুনে সোহেল চৌধুরী মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে নগদে ২০ হাজার টাকা অনুদান দেন। সেখানেও প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি।
শুধু তাই নই, আমতলী হিলফুল ফুজুল হেফজখানা ও নুরানী মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে একটি পরিত্যক্ত ভবনকে নতুন করে সংস্কার করে দেওয়ার দায়িত্বভার নেন তিনি।
শুধু মসজিদ মাদ্রাসা নই, তিনি কাজ করছেন যুব-সমাজিক সংগঠন, মানবিক সংগঠন ও অসহায়ত্ব নিয়ে। গরিব-আসহায় ও দিনমজুর শ্রমিকের অসুখ বিসুখেও চিকিৎসাসহ বিভিন্নভাবে আর্থিক সাহায্য সহযোগীতায় হাত বাড়িয়ে দেওয়ার দৃশ্যমান কার্যক্রম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে।
প্রতিদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে তার এহেন কর্মযজ্ঞের দৃশ্যমান কার্যক্রম।
সম্প্রতি রত্নাপালং ইউনিয়ন তথা উখিয়ার আনাছে কানাছে অবহেলিত জনপদে সোহেল চৌধুরীর বিচরণ ব্যাপক সাড়া পেয়ে আলোচনা সৃষ্টি করেন তিনি।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, তিনি রাজনৈতিক পরিবারের ছেলে হলেও এখনো পর্যন্ত সোহেল চৌধুরীকে কোন রাজনৈতিক পর্যায়ে দেখা যায়নি। তবে মানুষের মুখে শুনা যাচ্ছে আগামী ইউপি নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা করবেন তা ও জনগন গন-রায় পেলে।
এসব বিষয়ে সোহেল চৌধুরী জানায়, আমি সামাজে মানবিক সহায়তা করছি নিঃস্বার্থভাবে। এইখানে আমার কোন স্বার্থ নাই। অসহায় ও ধর্মীয় দীনি কাজে সহযোগীতা করি আল্লাহর রাস্তায়। কারো থেকে কিছু পাবার আশায় নই। আমার নেক আমল ও সৎ উদ্যেশ্যকে কবুল করার মালিক একমাত্র আল্লাহ।