ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় কায়সার নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আতিকুর রহমান। মামলার অপর আসামী জালাল পলাতক রয়েছেন।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলেন, লোহাগাড়া উপজেলা বড়হাতিয়া ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ড হাজী পাড়ার মোঃ আলীর ছেলে মোঃ কায়সার। পলাতক আসামী একই ওয়ার্ডের তৈয়ার পাড়ার মৌলানা নুর আহমদের ছেলে জালাল উদ্দিন।
জানা যায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার দুই নারী। এ ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর লোহাগাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী নারী। যার মামলা নং ৪১/২২।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টার দিকে বিদ্যুৎ বিল দিয়ে রিকশাযোগে বাড়ি ফিরছিলেন দুই নারী। বড়হাতিয়ার মালপুকুরিয়া ব্রিজের সামনে পৌঁছালে তাদের গতিরোধ করে অভিযুক্ত কায়সার এবং জালাল উদ্দিন। তাদেরকে জোর করে তস্থানীয় তৈয়বের পাড়ায় একটি পরিত্যক্ত টিনশেড ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের দুজনকে ধর্ষণ পরবরতী বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে। এরপর থেকেই সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে আদায় করে মোটা অংকের টাকা। এ ঘটনায় লোহাগাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন তারা।
এরপর ভুক্তভোগী দুজনকে ভর্তি করা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেলের ওসিসিতে। প্রাথমিকভাবে পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
স্থানীয়রা জানান, কায়সার ও জালালের বিরুদ্ধে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। মাদক ব্যাবসা, মাদক সেবন ও একাধিক মামলার আসামী তারা।
লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আতিকুর রহমান জানান, ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের ঘটনায় দাযের করা মামলায় আমরা একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছি। পলাতক আসামীকে গ্রেফতার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।