সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০২:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
উখিয়ার ঘাটে রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর তাণ্ডব: পারিবারিক বিরোধের জেরে রক্তাক্ত সংঘর্ষ যেকোনো সময় সচল করা হতে পারে আ.লীগের কার্যক্রম: ড. ইউনূস মাদক ছিনতাই থেকে পাচার—সবখানেই সক্রিয় পালংখালীর মঞ্জুর আলম তাঁতীলীগ নেতাকে ছেড়ে দিয়ে সংবাদকর্মীকে গ্রেফতার করলেন উখিয়ার ওসি! কক্সবাজারে শিক্ষিকা ধর্ষণ মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন জাতিসংঘে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস অভিযোগ, বর্জন, বিক্ষোভের ভোট, ফলের অপেক্ষা কুতুপালং বাজার ব্যবসায়ী সমিতি নির্বাচন ঘিরে আলোচনায় মোহাম্মদ ইমরান উচ্ছেদ কার্যক্রমে বাধা: ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ ১ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা পদত্যাগ করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

লুট করেছে কোটি টাকার ইয়াবা,নৈপথ্যে ছদ্মবেশী রবিউল

ডেস্ক রিপোর্ট / ২৬২ বার
আপডেট সময় : বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫
Robiul

সীমান্তের অন্যতম কারবারি উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ধামনখালী এলাকার আবদুস সালামের পুত্র রবিউল ইসলাম প্রকাশ বাবুস্যা আবারও মাদক কারবারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

জানা গেছে, সীমান্তবর্তী বাড়ি হওয়ায় তার সাথে মিয়ানমারের বড় বড় মাদক ও অন্যন্য চোরাচালানকারী ব্যক্তিদের সাথে সু-সম্পর্ক বিদ্যামান রয়েছে। সেই সুবাধে তাদের সাথে আঁতাত করে এপারে মাদক এনে রোহিঙ্গা পাচারকারীকে দিয়া ব্যবসা করান। রবিউল নিজেকে সেইভ রাখতে নিয়মিত বিদেশেও যাওয়া আসা করে। যাতে মানুষ বুঝতে পারে সে একজন প্রবাসী। এভাবে ছদ্মবেশে রবিউল তার জীবন পার করে আসছে।

অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, এই রবিউল তার কৌশল ব্যবহার করতে গিয়ে ২০২২ সালে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে বিজিবির হাতে ধরা পড়ছিল। এর পর থেকে নিজেকে আড়াল করতে নিয়মিত বিদেশে আসা যাওয়া করেন।

এ অনুসন্ধানে আরো উঠে এসেছে, সাপ্তাহ দেড়এক আগে মিয়ানমারের নাগরিক সোহেল নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে ২ লাখ পিছ ইয়াবা এনে বালুখালী ৯নং ক্যাম্পে তার বোনের জামাই মোস্তফা প্রকাশ সোনা মিয়ার ঘরে রাখেন। প্রশাসন এসবের খবর পেলে তাদের ধাওয়া করে এবং ঘরে তল্লাশী করলে ৪০ হাজার পিছ ইয়াবা উদ্ধার করতে সাক্ষম হয়।

এর আগে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সেখান থেকে ১ লক্ষ পিছ ইয়াবা রবিউল একাই বিক্রি করেন। বাকি ৬০ হাজার পিছ ইয়াবা রবিউল নিজের কাছে রেখে দেয়। সর্বত্রে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে রবিউল প্রকাশ বাবুইস্যা পালিয়ে অদৃস্য হয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বালুখালীর এক ব্যক্তি জানিয়েছে, রবিউল প্রকাশ বাবুইস্যা নিজে ব্যবসা করার কথা বলে কারবারিকে দিয়া ইয়াবা এনে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা অনেক করেছে। প্রশাসন এসবের খবর পেলে তাকে ধাওয়া করলেই সেই বিদেশে চলে যায় না হলে অদৃশ্য হয়ে থাকেন। তার সাথে বড় বড় ইয়াবা কারবারির সাথে সম্পৃক্ততাও রয়েছে।

ধামনখালী এলাকার আরেক ব্যক্তি জানিয়েছে, রবিউল বেশিরভাগ ছদ্মবেশে জীবন যাপন করেন। সে কখনো হাজী,কখনো ডাকাত,কখনো,ইয়াবা কারবারি।  সে বছর দেড়এক আগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডুকে একটি বিশেষ বাহিনীর পরিচয় দিয়ে আরসা নেতাদের অনেক অস্ত্রলুটপাটও করেছিল। মাদক কারবারেও সে কখনো বিক্রেতা,কখনো পাচারকারী, কখনো গডফাদার ।  এভাবেই যাচ্ছে তার জীবন। বর্তমানে সে কয়েকটি মামলায় ওয়ারেন্ট আছে। সে যেখনো মুহুর্তে আটক হতে পারে।

 

এ বিষয়ে রবিউলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব অস্বীকার করে বলেন, সেখানে মনির জড়িত আমি নই। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। মেসেঞ্জারের চ্যাট আলাপ ভাইরাল হয়েছে এটা কি মিথ্যা এমন প্রশ্নের উত্তরে রবিউল বলে, সেখানে আমি একটি দুষ্টামি করেছি মনিরের শ্যালক ফারহানের সাথে।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফ হোসেন জানিয়েছেন, ওয়ারেন্ট থাকলেই আটক হবে। তবে কখন কোথায় আছে একটু জানা দরকার। তারপরও অপরাধীদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানা পুলিশের অভিযান নিয়মিত অব্যাহত আছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর