সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
উখিয়ার ঘাটে রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর তাণ্ডব: পারিবারিক বিরোধের জেরে রক্তাক্ত সংঘর্ষ যেকোনো সময় সচল করা হতে পারে আ.লীগের কার্যক্রম: ড. ইউনূস মাদক ছিনতাই থেকে পাচার—সবখানেই সক্রিয় পালংখালীর মঞ্জুর আলম তাঁতীলীগ নেতাকে ছেড়ে দিয়ে সংবাদকর্মীকে গ্রেফতার করলেন উখিয়ার ওসি! কক্সবাজারে শিক্ষিকা ধর্ষণ মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন জাতিসংঘে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস অভিযোগ, বর্জন, বিক্ষোভের ভোট, ফলের অপেক্ষা কুতুপালং বাজার ব্যবসায়ী সমিতি নির্বাচন ঘিরে আলোচনায় মোহাম্মদ ইমরান উচ্ছেদ কার্যক্রমে বাধা: ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ ১ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা পদত্যাগ করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

রিক্সাচালক থেকে কোটিপতি : কালো টাকা সাদা করতে খামার ও রোহিঙ্গা কেন্দ্রীক ব্যবসা

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৩৫৫ বার
আপডেট সময় : শুক্রবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৩

* বংশসুত্রে মায়ানমারের নাগরিক পেয়েছে বাংলাদেশের এনআইড়ি।

 

* জমি কিনে বনে গেচে খতিয়ানের মালিক।

নাইক্ষ‌্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের কচুবনিয়া এলাকায় স্বামী স্ত্রীর উপর উর্যপুরী হামলা ও স্বর্ণ লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার ব‌্যবসায়ী মৃত মমতাজ মিয়ার ছেলে ইমাম হোসেনের বিরুদ্ধে।
কে এই ইমাম হোসেন এমন প্রশ্নে সাংবাদিকদের এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে তার পূর্ব-ইতিহাস ও বংশগুত্র নিয়ে ভয়ংকর তথ্য।
জানা যায়, ইমাম হোসেন তারা বংশসুত্রে মায়ানমারের নাগরিক । ১৯৭০-৭৩ সালে রোহিঙ্গা ঢল নেমে বাংলাদেশে অবস্থান করেন তার পরিবার। সেই সুত্রে তিনি বর্মায়া অথচ নানান কৌশলে সে করে নিয়েছে বাংলাদেশী এনআইডি। জমি কিনে মালিক হয় খতিয়ানের। মায়ানমারে তার পরস্পর আত্মীয়স্বজন থাকার সুবাধে বিভিন্ন চোরাইপন্য ও মাদকদ্রব্য অবৈধভাবে বাংলাদেশে পাচার করে বনে যায় কোটিপতি।  তার এই কালো টাকাকে সাদা করতে রোহিঙ্গা কেন্দ্রীক ব্যবসা এবং পোল্ট্রি খামার করে বর্তমানে প্রশাসনের চোক ফাঁকি দিয়ে নিরবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এই বর্মায়া ইমাম হোসেন।
এ অনুসন্ধানে আরো উঠে এসেছে, কয়েকবছর আগেও সে সামান্য রিক্সাচালক ছিলেন,  বর্তমানে এত টাকা কোথাই পেল এ নিয়ে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।

শুধু তাই নই,  ২০১৬ সালে ছিঁসকে চোর(রিক্সার ড্রাইভার) রোহিঙ্গা বাবা-মার কুখ্যাত সন্তান ইমাম হোসেন শীর্ষ ইয়াবা মহাজনের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন এবং প্রশাসনের তালিকা ভুক্ত শীর্ষ মাদককারবারীর মধ্যে ছিল অন্যতম সদস্য।
এ নিয়ে ২০১৬ সালে উখিয়া নিউজে সংবাদ পরিবেশন করেন স্থানীয় সাংবাদিক শ,ম,গফুর। এর পরে তিনি দীর্ঘদিন পালাতক হয়। প্রদীপকান্ডের পর ইয়াবা নিয়ে কোন অভিযান না হওয়াতে পুনরায় এলাকায় এসে শুরু করে মাদক ও কালোবাজারি অবৈধ ব্যবসা।

তৎকালীন সময়ের বিশ্বস্ত সুত্রে মতে, মিয়ানমারের তার বিশ্বস্থ ইয়াবা মহাজন মন্ডু থানার ঢেকিবনিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড বাজার পাড়ার জনৈক নাজির হোসেন প্রঃ কুলি নাজিরের পুত্র জামাল হোসেনের ইয়াবার চালান পাচার করে মাসে অন্তত কয়েক কোটি টাকা মিয়ানমারে পাচার করছে।

উক্ত জামালের কোটি কোটি টাকা ইমাম হোসেনের হাতে রক্ষিত রয়েছে। সেই টাকায় ইমাম হোসেনের নামে গাড়ি, বাড়ি ও একাধিক নামে মাত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে কালো টাকা সাদা করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। বর্তমানে মিয়ানমারের উক্ত মহাজন জামাল মিয়ানমার সরকারের আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে জেলে রয়েছে।
জামালের টাকায় ক্রয় করা অন্তত কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাৎ করার কু-মানসে জনপ্রতিনিধি ও সরকার দলীয় কিছু সুবিধাভোগী দালাল চক্রকে টাকার বিনিময়ে পক্ষ নিয়ে রাতারাতি যুবলীগ নেতাও দাবি করেন এই ইমাম হোসেন

এ বিষয় নিয়ে ইমাম হোসেন এ তথ্যগুলো মিথ্যা দাবি করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।  আমি বাংলাদেশী নাগরিক আমার বংশগুত্র মহেশখালী।  আমি মায়ানমার নাগরিক নই।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজের প্রতিটি বক্তব্যে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন আমার ইউনিয়নে মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় দেবনা। অবৈধ কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকা ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে সবসময় প্রতিবাদ করা হবে। সেই যত বড় ক্ষমতাশালী নেতা হউক না কেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর