রামু খুনিয়াপালং ইউনিয়নের বড়ডেপা এলাকার শিশু জুয়েল হত্যা মামলার দুই নম্বর আসমি সিকান্দর পোল্ট্রিং ফার্মের মালিক বার্মায়া সিকান্দার কে গ্রেপ্তার করে রামু থানার পুলিশ,
৬ ই অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) রাত ১০ টার সময় উখিয়া উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব মরিচ্যা
জামবাগান এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এস আই রাকিব নেতৃত্ব উখিয়া থানা মোবাইল টিম সহ পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
রামু উপজেলা খুনিয়া পালং ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হেডম্যান পাড়া দিনমজুর মনিরুজ্জামান এর জ্যেষ্ঠ পুত্র জুয়েল(১৪) মৃতদেহ ৩/৯/২০২২ইং তারিখ মেসার্স সিকান্দর এর পোল্ট্রি ফার্মের পশ্চিম পাশে ধান ক্ষেত থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে
নিহত জুয়েল মেসার্স সিকান্দার পোল্ট্রি ফার্মে কর্মচারী ছিলেন বলে জানা গেছে গত ২/৯/২০ ২২ ইংরেজি তারিখ রাত তিন ঘটিকার সময় পোল্ট্রি ফার্মের মালিক সিকান্দর আলী জুয়েলকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে। ৩/৯/২০২২ইং তারিখ শুক্রবার জুমার নামাজের পরে পোল্ট্রি ফার্মের কর্মচারী ফোন করে স্থানীয় ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন মেম্বারকে অবহিত করেন।
জুয়েলের নিহত খবর নিশ্চিত করে ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন থানায় ফোন করলে তাৎক্ষণিক হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ি আইসি ও রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে। উদ্ধারের সময় লাশের গায়ে দেখা গেছে গলার বাম পাশে এবং ডান হাতের কব্জিতে ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগের চিহ্ন রয়েছে এবং শরীরে কত বিক্ষত আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে
ময়নাতদন্ত শেষে পরের দিন জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয, জানাজা শেষে স্থানীয়রা খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন। নিহতের মা বাদী হয়ে ৯জনকে আসামী করে রামু থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে স্থানীয়দের দাবি পোল্ট্রি ফার্মের মালিক সিকান্দর ও তার ছেলে রশিদ,শরিফ, হাছান হোসেনসহ রোহিঙ্গা কর্মচারীরা মিলে জুয়েলকে নির্মমভাবে হত্যা করে ধানক্ষেতে ফেলে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন।
স্থানীয় জনগণেরা তার কর্মচারী কেফায়েত উল্লাহ,সাকিব,ছমিরা, তাহমিনা কে ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন পুলিশ তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছে।
মেসার্স সিকান্দর পোল্ট্রি ফার্মের মালিক সিকান্দরের বাড়ী ককস বাজার কলাতলী ছিল সিকান্দর এর ছেলে আব্দুর রশিদের সাথে বড়ডেপা ডাক্তার আবু তাহেরের মেয়ে সাথে বিয়ে হয় এরপরে সিকান্দর স্থায়ীভাবে বসবাস করে পোল্ট্রি ব্যবসা করে যাচ্ছে।স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান মেসার্স সিকান্দর পোল্ট্রি ফার্মের মালিক সিকান্দর একজন রোহিঙ্গা টাকার বিনিময় জাতীয় পরিচয় পত্র করেছে।
রামু থানার হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এস আই রাকিব আসামি গ্রেফতারের বিষয়টি স্বীকার করে জানান সিকান্দার কে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।