লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার আওগানখিল এলাকার সোহারব প্রকাশ সোহাগ প্রতারণার ফাঁদ বসিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, সোহারব দীর্ঘদিন যাবত সৌদি প্রবাসে জীবন যাপন করেন। সেই সুবাধে সৌদি প্রবাসে বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্যের মোটা লাভ দেখিয়ে ভিসা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করেন।
জানা গেছে, সোহার আওগানখিল ৩নং ওয়ার্ডের মোঃ আব্দুস সত্তারের ছেলে।
সোহারব সৌদিতে বসে এলাকায় বিভিন্ন মাধ্যম সৃষ্টি করে এসব প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। তার স্ত্রী তানিয়ার মাধ্যমে অধিকাংশ টাকার লেনদেন হয় বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
তার প্রতারণার ফাঁদ ছিল কয়েক ধরণের। কাউকে ভিসা দেওয়ার কথা বলে নেন টাকা। আবার কাউকে সৌদিতে বড় কোম্পানির সাথে পার্টনার হয়ে মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে করেন প্রতারণা। এভাবে অনেক মানুষকে নিঃশ্ব করে দেন তিনি
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বহু মানুষের কাছ থেকে এভাবে লোভনীয় কাজ দেখিয়ে ভিসা দেওয়ার কথা বলে ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা নেন সোহারব। তার কৌশলিক প্রতারণায় নিঃশ্ব হয়ে অনেক মানুষ পথে পথে ঘুরছে। এসবের সামাধান পাচ্ছে না কেউ।
মো: মেহেদী নামে এক ভোক্তভোগী জানিয়েছেন, সৌদি প্রবাসে ব্যবসায় অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। একটা ভিসা প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে সৌদিতে এসে লাখ লাখ টাকা কামানো যাবে এমন লোভনীয় প্রস্তাবে প্রথম পর্যায়ে ৬ লক্ষ টাকা টাকা প্রদান করার কথা বলেন। পরে টাকা দিয়ে দিলে ভিসাও আর দেয় না। টাকাও ফেরত দেয় না।
ইমরান নামে আরেক ভুক্তভোগী জানান, সোহারব আমাকে সৌদির একটি কোম্পানিতে ব্যবসার কথা বলে ১৭ লাখ টাকা নেন। আমাকে পার্টনার হিসাবে রাখার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। পরে আমাকে পার্টনার করা দুরের কথা একটা ভিসাও দেন নাই সৌদিতে প্রবেশ করতে। এমন প্রতারণা আমার সাথে করেন সোহারব।
মোমেন নামে আরেক জনের কাছ থেকে নেন ২৫ লক্ষ টাকা। এভাবে অনেক মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার ফাঁদ বসিয়ে টাকা নিয়ে মেরে দেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন সোহারব নামে এই লোকটি।
কাউকে ভিসা দেওয়ার কথা বলে আবার কাউকে কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার হওয়ার কথা বলে সোহারব রো তার স্ত্রী তানিয়া একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কোটি টাকার উপরে হাতিয়ে নেন।
এসব ঘটনায় স্থানীয় শালিশী বৈঠকেও কোন সুরহা পান নি ভুক্তভোগীরা। পরবর্তী মামলা দায়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তারা।
বিষয়ে জানতে চাইলে রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।