দিনদিন বাড়ছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর সাথে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘাত। শুক্রবারও কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত থেকে গোলা ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সংঘর্ষের জেরে রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছেন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যরা। দফায় দফায় পালিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে তারা।
সূত্র জানায়, দুই দিনে টেকনাফের তিনটি পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর শতাধিক সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছেন। তাদের মধ্যে বিজিপি ছাড়াও দেশটির সামরিক বাহিনীর সদস্য আছেন। এ অবস্থায় অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে তৎপরতা বাড়িয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) ও কোস্টগার্ড।
টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দা আবদুল কাদের বলেন, বৃষ্টির কারণে শুক্রবার সীমান্তের ওপার থেকে গোলার শব্দ কম শোনা গেছে। বৃষ্টি থামতেই আবার প্রকট শব্দ শোনা যায়।
এ বিষয়ে টেকনাফের নৌ-পুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘টহল অব্যাহত রেখেছি, যাতে মিয়ানমারের পরিস্থিতির কারণে অনুপ্রবেশ না ঘটে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, সীমান্তে শুক্রবারও দিনভর গোলার বিকট শব্দ শোনা গেছে। আমাদের সীমান্ত স্বাভাবিক আছে। তবে যুদ্ধের কারণে মাঝেমধ্যে সে দেশ থেকে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। কিন্তু বিজিবি ও কোস্টগার্ডের নিয়মিত টহলের কারণে তারা ঢুকতে পারছে না। তবে মাঝেমধ্যে মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের প্রবেশের খবর পাওয়া যায়।
রাখাইনে আরাকান আর্মি ও দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে চলা সংঘর্ষে মর্টার শেল ও ভারী গোলার বিকট শব্দে শুক্রবারও টেকনাফ সীমান্ত এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমরা কঠোরভাবে কাজ করছি। মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতির মধ্যে সীমান্তে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।’