১/১১ এর কঠিন সময় ছিল বিএনপির অস্তিত্ব রক্ষার এক ভয়াবহ পরীক্ষা। সেই সময় মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিনের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে এবং বিএনপিকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র শুরু করে। সেই দুঃসময়ে যখন দলের শীর্ষ নেতারা নতজানু ভুমিকায় ছিলো, অধিকাংশ জায়গায় পার্টি অফিস বন্ধ করে দিয়েছিল, নেতাকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছিল, তখনই তৎকালীন সেনা নিয়ন্ত্রিত সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার চোখ রাঙ্গানি উপেক্ষা করে খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়কের (কোঅর্ডিনেটরের) দায়িত্ব পালন করেন সাহসী ও সংগ্রামী এই নেতা শাহজাহান চৌধুরী।
এসময় তিনি চট্টগ্রাম বিভাগীয় পার্টি অফিসের তালা ভেঙে অফিস চালু করেন এবং চাঁদপুর, কুমিল্লা সহ চট্টগ্রাম বিভাগের প্রতিটি জেলায় ঘুরে ঘুরে মিটিং ও সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে মৃত প্রায় একটি দলকে সংগঠিত রাখেন। তাঁর সেই দৃঢ় নেতৃত্ব ও সাহসিকতার কারণেই চট্টগ্রাম বিভাগে বিএনপি উজ্জীবিত ছিল এবং নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে।
তাঁর এই সাহসী ভূমিকা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন প্রশংসার দাবি রাখে। এই ঘটনা আজও নেতাকর্মীদের হৃদয়ে গর্বের জায়গা নিয়ে আছে এবং এটি প্রমাণ করে যে “দুঃসময়ের নেতাই আসল নেতা” আর সেই নেতাই হলেন বর্তমান দক্ষিণ চট্টলার বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মরহুম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিশ্বস্ত রাজনৈতিক সহচর জননেতা শাহজাহান চৌধুরী।
শাহজাহান চৌধুরীর এই রাজনৈতিক ইতিহাস দলীয় নেতাকর্মী ও জনগণের মাঝে আজও স্মরণীয়।
লেখক: সাবেক সাংসদ ও হুইপ শাহজাহান চৌধুরীর একান্ত প্রেস সচিব, মোহাম্মদ ইমরান |