সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০২:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
উখিয়ার ঘাটে রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর তাণ্ডব: পারিবারিক বিরোধের জেরে রক্তাক্ত সংঘর্ষ যেকোনো সময় সচল করা হতে পারে আ.লীগের কার্যক্রম: ড. ইউনূস মাদক ছিনতাই থেকে পাচার—সবখানেই সক্রিয় পালংখালীর মঞ্জুর আলম তাঁতীলীগ নেতাকে ছেড়ে দিয়ে সংবাদকর্মীকে গ্রেফতার করলেন উখিয়ার ওসি! কক্সবাজারে শিক্ষিকা ধর্ষণ মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন জাতিসংঘে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস অভিযোগ, বর্জন, বিক্ষোভের ভোট, ফলের অপেক্ষা কুতুপালং বাজার ব্যবসায়ী সমিতি নির্বাচন ঘিরে আলোচনায় মোহাম্মদ ইমরান উচ্ছেদ কার্যক্রমে বাধা: ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ ১ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা পদত্যাগ করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

উখিয়ায় বনভূমি উদ্ধারে অভিযান করবে বনবিভাগ

ডেস্ক রিপোর্ট / ৩১২ বার
আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫

কক্সবাজারের উখিয়ায় বনভূমি জবরদখলকারী ও বনের জায়গায় দালানের স্থাপনা নির্মাণকারীদের দালিলিক প্রমাণ চেয়ে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে বনবিভাগ উখিয়া রেঞ্জের সদরবিট কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান।

এ নোটিশে জবরদখলকারী ও স্থাপনা নির্মাণ কারীদের প্রাথমিকভাবে সতর্ক করেন এবং তারা কি মূলে বনের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে তার দালিলিক কাগজপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট বন-কর্মকর্তার নিকট হাজির হতে বলা হয়। সেখানে একটি নির্ধারিত সময় বেধে দেন বিট কর্মকর্তা ।

এ সময়ের মধ্যে উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে না পারলে গড়ে উঠা স্থাপনা ভেংগে দিয়ে বনভূমি উদ্ধারপুর্বক বন আইন অনুযায়ী জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানানো হয়।

এসব নোটিশ প্রাপকের মধ্যে নাম এসেছে, কুতুপালং হাইওয়ে পুলিশফাঁড়ি এলাকার শামসুল আলমের ছেলে মোঃ সেলিম, গুচ্ছগ্রাম এলাকার সৈয়দনুরের ছেলে জয়নাল মিস্ত্রি, শীলেরছড়া এলাকার সিরাজ মিয়ার ছেলে মো: ওসমান, গুচ্ছগ্রামের সৈয়দ নুরের ছেলে নুরুল ইসলাম,রাজাপালং এলাকার জকির আলমের ছেলে এনামুল কবির, মুকবুল আহমদের ছেলে মোঃ ইউনুস, মোক্তার আহমেদ ও হোসেন আহমেদসহ আরো অনেক জবরদখলকারীর নাম পাওয়া গেছে।

তারা সকলেই বনের জমি জবরদখল করে দালানের স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা কি মূলে বনের জায়গায় এসব স্থাপনা গড়ে তুলতেছে তা জানতে নোটিশ প্রদানের সময় অতিবাহিত হলেও বনবিভাগকে কোন জবাব দেননি ।

ফলে বনবিভাগ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় এসবের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর। সরকারি সম্পদ রক্ষা করতে তারা এমন কঠোর পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, এই সাপ্তাহ থেকে শুরু করে ঈদপরবর্তীও এ অভিযান চালানো হবে। জবরদকখলকৃত বনভূমি উদ্ধার শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত রাখবেন তারা।

নতুন করে বনভূমি জবরদখল ও বনের জায়গায় দালানের স্থাপনা নির্মাণ কাজ হলে বন আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে পাশাপাশি গড়ে উঠা স্থাপনা ভেংগে দিয়ে বনের জায়গা জবরদখল মুক্ত করবে বলে জানিয়েছেন উখিয়া রেঞ্জে দায়িত্বরত (এসিএফ) শাহীনুল ইসলাম।

তিনি বলেন, বনভূমি রক্ষার্থে বনবিভাগ উখিয়া রেঞ্জ কঠোর পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে৷ যারা বনভূমি জবরদখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে তাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হয়ছে। তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গড়ে উঠা স্থাপনা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে না পেললে বনভূমি রক্ষার্থে বন আইনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, সরকারের দেওয়া দায়িত্ব পালনে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগ বদ্ধপরিকর।  তার মধ্যে উখিয়া রেঞ্জে আমি দায়িত্বপালনকালে বন-বিরোধী কোন অপকর্ম করা যাবে না এটা আমার সাফ জবাব। বন ও বনভুমি রক্ষার্থে সকলের সহযোগীতা আশা করছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর