সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০২:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
উখিয়ার ঘাটে রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর তাণ্ডব: পারিবারিক বিরোধের জেরে রক্তাক্ত সংঘর্ষ যেকোনো সময় সচল করা হতে পারে আ.লীগের কার্যক্রম: ড. ইউনূস মাদক ছিনতাই থেকে পাচার—সবখানেই সক্রিয় পালংখালীর মঞ্জুর আলম তাঁতীলীগ নেতাকে ছেড়ে দিয়ে সংবাদকর্মীকে গ্রেফতার করলেন উখিয়ার ওসি! কক্সবাজারে শিক্ষিকা ধর্ষণ মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন জাতিসংঘে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস অভিযোগ, বর্জন, বিক্ষোভের ভোট, ফলের অপেক্ষা কুতুপালং বাজার ব্যবসায়ী সমিতি নির্বাচন ঘিরে আলোচনায় মোহাম্মদ ইমরান উচ্ছেদ কার্যক্রমে বাধা: ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ ১ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা পদত্যাগ করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

ইয়াবাসহ আটক হলেও মামলা দেয়নি পুলিশ, নষ্ট ইয়াবার অজুহাতে ছাড়া পেল আসামী

ডেস্ক রিপোর্ট / ২৭৩ বার
আপডেট সময় : সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫
Ukhiya

এম ফেরদৌস ( উখিয়া কক্সবাজার) ::

উখিয়ার বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে ৭ হাজার পিস ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারিকে আটকের ৫ ঘণ্টা পর মোটা অংকের টাকায় আসামীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৮-এপিবিএন পুলিশের উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে নষ্ট ইয়াবা বলে চালিয়ে দেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা।

জানা গেছে, শনিবার (২১ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বালুখালী হিন্দুপাড়া রাস্তার মাথা থেকে আব্দুল করিম (৩৮) নামের এক স্থানীয় মাদক কারবারিকে আটক করে নিয়ে যান ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বরত উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর।

পরবর্তী ইয়াবাসহ তাকে থানায় সোপর্দ না করে স্থানীয় চিহ্নিত মাদক কারবারি ফরিদের মধ্যস্থতায় ২ লাখ টাকার বিনিময়ে রাত দেড়টায় ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ দুই লাখ টাকা ভাগবাঁটোয়ারা করে নেন উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর। এমন গুঞ্জনে এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।

অনুসন্ধান ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ইয়াবাসহ আটক হওয়া আব্দুল করিম এক ধরণের প্রতিবন্ধী।  তার প্রতিবন্ধীর সুযোগ কাজে লাগিয়ে বালুখালী কেন্দ্রীক মাদকের গড ফাদার চিহ্নিত কারবারি ফরিদ তাকে লোভনীয় প্রলোভন দেখিয়ে তার মাধ্যমে ইয়াবা পাচারের নিরাপদ পন্থা হিসাবে ব্যবহার করছে। তাকে কেউ আটক করলে ফরিদ নিজে গিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনেন।

সর্বশেষ এপিবিএন পুলিশ তাকে ইয়াবাসহ হাতে নাতে আটক করলেও মাদককারবারি ও পুলিশের যোগসাজশে নানা ম্যাকানিজম শুরু করেন। প্রায় ৫ ঘন্টা পর ভালো ইয়াবা সরিয়ে নষ্ট ইয়াবা শো করে নাটকীয়ভাবে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাকে ছাড়িয়ে নেন ইয়াবার গডফাদার ফরিদ।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে  উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর বলেন, আটকের ঘটনা সত্য। তবে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা মাদকসহ ওই কারবারিকে ধরে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে আসি। পরে দেখা যায়, জব্দকৃত ইয়াবাগুলো দুই নম্বর।

পুলিশের এই কর্মকর্তা দাবি করেন, নষ্ট ইয়াবা দিয়ে আসামিকে থানায় সোপর্দ করা যায় না তাই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এ ঘটনায় টাকা লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেন জাহাঙ্গীর।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, ঘটনা শোনার পরপরই ব্যস্ততার অজুহাত দিয়ে ফোন কেটে দেন।

জানতে চাইলে ৮ এপিবিএন-এর এএসপি জহির উদ্দিন বলেন, আমি কয়েকদিন ধরে অসুস্থ আছি। তবে ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

৮-এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) রিয়াজ উদ্দীনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এরকম ঘটনা যদি ঘটে তাকে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টা আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। এর আগে আমি জানতাম না। যেহেতু জেনেছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর