রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
উখিয়ার ঘাটে রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর তাণ্ডব: পারিবারিক বিরোধের জেরে রক্তাক্ত সংঘর্ষ যেকোনো সময় সচল করা হতে পারে আ.লীগের কার্যক্রম: ড. ইউনূস মাদক ছিনতাই থেকে পাচার—সবখানেই সক্রিয় পালংখালীর মঞ্জুর আলম তাঁতীলীগ নেতাকে ছেড়ে দিয়ে সংবাদকর্মীকে গ্রেফতার করলেন উখিয়ার ওসি! কক্সবাজারে শিক্ষিকা ধর্ষণ মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন জাতিসংঘে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস অভিযোগ, বর্জন, বিক্ষোভের ভোট, ফলের অপেক্ষা কুতুপালং বাজার ব্যবসায়ী সমিতি নির্বাচন ঘিরে আলোচনায় মোহাম্মদ ইমরান উচ্ছেদ কার্যক্রমে বাধা: ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ ১ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা পদত্যাগ করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

ইয়াবা ও টাকাসহ পাচারকারী ছেড়ে দিলো রামু থানা পুলিশ!

প্রতিবেদক নাম : / ২০৮ বার
আপডেট সময় : বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪

 

কক্সবাজারের রামু থানার এস আই সুনয়ন বড়ুয়ার নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ দশ হাজার ইয়াবা ও নগদ দুই লক্ষ টাকা নিয়ে কোন ধরনের মামলা না দিয়ে চার মাদক পাচারকারীকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ পুলিশ কর্মকর্তা বিষয়টি প্রতিবেদকের কাছে প্রথমে স্বীকার করলেও পরে ফোনে কার সাথে কথা বলার পর মোড় ঘুরে যায়৷

ঘটনাটি ঘটেছে গত ২০ অক্টোবর (রবিবার) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে সাতটার দিকে রামু রাজারকুল ইউনিয়নের পঞ্জেগানা রাস্তার মাথায়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গত রবিবার সন্ধ্যায় সোনাইছড়ি -পঞ্জেগানা সড়কে সাদা পোশাকে ডিউটি করছিলেন রামু থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক সুনয়ন বড়ুয়ার নেতৃত্বে একটি টিম।সঙ্গীয় ফোর্স হিসাবে ছিলো কনস্টেবল হাসান ও কনস্টেবল তুহিন। এসময় পঞ্জেগানা রাস্তার মাথায় চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি করছিল। তখন দু’জন আরোহী নিয়ে একটি মোটরসাইকেল আসলে সেটাকে সিগন্যাল দিয়ে দুই যুবককে আটক করে হ্যান্ডক্যাপ পড়িয়ে তাদেরকে সিএনজি গাড়ীতে বসিয়ে রাখে।এসময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনগুলো কেড়ে নেওয়া হয়। মিনিট পাঁচেক পর দুইজন আরোহী নিয়ে আরও একটি মোটরসাইকেল আসে। তখন তাদেরকে থামিয়ে হাতে হ্যান্ডক্যাপ পড়িয়ে আটকের স্থান থেকে একটু নিরিবিলি স্থানে এনে তাদের দেহ তল্লাশি করে দশ হাজার ইয়াবা ও দুই লক্ষ নগদ টাকা উদ্ধার করে। এসময় আটককৃতরা চেচামেচি করলে সেনাবাহিনীতে কর্মরত এক পথচারী সাইকেল থামিয়ে এখানে কি হচ্ছে জানতে চাইলে এসআই সুনয়ন বড়ুয়া তার পরিচয় পত্র দেখালে ওই পথচারী সেনা সদস্য চলে যায়।ওই সময় তাদের চারজনকে বেধড়ক মারধর করা হয়।পরে কনস্টেবল তুহিন দুই জনকে হাতকড়া পরিয়ে মোটরসাইকেল এ করে এবং এসআই সুনয়ন বড়ুয়া ও কনস্টেবল হাসান বাকী দু’জনকে নিয়ে রামুর দিকে চলে যায়।পরবর্তীতে থানার কাছাকাছি আসলে চারজনকে একই সিএনজিতে করে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে ভবিষ্যতে এসব কথা কাউকে না জানানো এবং এরকম আরও বেশকটি মাদকের চালান ধরিয়ে দেওয়ার শর্তে ছেড়ে দেওয়া হয়। তখন মাদক পাচারকারিদের সিমসহ একটি বাটন মোবাইল ফোন পুলিশের হাতে রেখে দেয় কারন পরবর্তীতে ওই মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন,এশারের নামাজের আগে পঞ্জেগানা রাস্তার মাথায় সাদা পোশাক পড়া তিনজন পুলিশ একটি মোটরসাইকেল আটক করে এবং সেখানে দুইজন লোক ছিলো, কিছুক্ষণ পর আরও একটি মোটরসাইকেল আসলে সেখানেও দুইজন লোক ছিলো। তাদের হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যেতে দেখেছি পরে তাদের কি করেছে জানি না।

আটক হওয়া প্রথম মোটরসাইকেলের আরোহী মোঃ সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হালিমের সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তারা বলেন,মোটরসাইকেল যোগে আমরা দু’জন সোনাইছড়ি থেকে রামু আসছিলাম। পথিমধ্যে পঞ্জেগানা রাস্তার মাথা আসলে সাদা পোশাকে কয়েকজন লোক আমাদের গাড়ীকে থামায়। তখন তারা আমাদের দু’জনের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে কোন কিছু বুঝে উঠার আগে হাতকড়া পড়িয়ে সিএনজিতে পর্দা টেনে বসিয়ে রাখেন। তারা আরও বলেন,কিছুক্ষণ পর আরও একটি মোটরসাইকেল আসলে সেখানেও দুইজন লোককে হাড়কড়া পড়িয়ে একটু অন্ধকার জায়গায় নিয়ে তাদের দেহ তল্লাশি করে দশ হাজার ইয়াবা ও দু’লক্ষ টাকা পায়।একজন হলো আমান উল্লাহ অপরজন রহিম উল্লাহ।তাদের কাছ থেকে ইয়াবা ও টাকা নিয়ে ফেলে এবং সবাইকে প্রচুর মারধর করে। এরপর চার জনকে একই সিএনজিতে করে বেশ কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করার পর আমান উল্লাহ ও রহিম উল্লাহকে বেশকটি শর্ত দিয়ে সবাইকে ছেড়ে দেয়। তবে সবার নাম ঠিকানা লিখে নেয়। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত ভিড়িও রেকর্ড এ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।

সূত্র : প্যানোয়া নিউজ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর