কুমিল্লার মুরাদনগরের বিতর্কিত ইউএনও সিফাত উদ্দিনকে কক্সবাজারের বিশেষায়িত উপজেলা উখিয়ায় পদায়ন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
একই প্রজ্ঞাপনে উখিয়ার বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন’কে বদলি করা হয়েছে রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায়। কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আত্মগোপনে থাকা জাহাঙ্গীর আলম সরকার ও মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান আহসানুল আলম সরকার কিশোরের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিতি আছে ইউএনও সিফাত উদ্দিনের।
অভিযোগ রয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের ওই দুই নেতার (পিতা-পুত্র) তথা দলটির পক্ষাবলম্বন করেছিলেন ইউএনও সিফাত উদ্দিন। গত ৭ সেপ্টেম্বর বিভিন্নগণ মাধ্যমে ‘মুরাদনগরে ইউএনও সিফাতের অপসারণ চায় এলাকাবাসী’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের ৮ এপ্রিল মুরাদনগরে যোগদানের পর শেখ মুজিবের মুর্যালে শ্রদ্ধা নিবেদন করে সিফাত নিজেকে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান দাবি করেন।
স্থানীয়দের দাবি, অনিয়ম-দুর্নীতির ভাগবাঁটোয়ারার অংশ পেতে সদ্য পতিত এমপি জাহাঙ্গীর আলম এবং তার ছেলে অপসারিত উপজেলা চেয়ারম্যান কিশোরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মুরাদনগরে তিনি শুরু করেন নানা অপকর্ম। সূত্র বলছে, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মাধ্যমে টিআর, কাবিখা, ইজিপিপিসহ ওই সেক্টর ৫% কমিশন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের যে কোনো ফাইল থেকে স্বাক্ষরে ২% হারে কমিশন সিফাতকে দিতে হয়। অনিয়মের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দিয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মানববন্ধন করান ৩৪ তম বিসিএসের বিতর্কিত এই কর্মকর্তা। জানা যায়, মুরাদনগরের কাজী নোমান আহমেদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীদেরকে উসকে দিয়ে তিনি গণমাধ্যম কর্মী আবুল খায়রের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করান। ওই কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন ইউএনও।