এম ফেরদৌস উখিয়া কক্সবাজার:
প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক কারবারে জড়িত রাঘববোয়ালরা অদৃশ্যমান থেকে পাচারকারী হিসাবে প্রতিনিয়ত ব্যবহার করছে রোহিঙ্গাদের। মাদককারবারে জড়িত পালংখালী ও ঘুমধুম সীমান্তে রয়েছে অসংখ্য মাফিয়া চক্র। পাচারকারী আটক করে মাদক ব্যবসা বন্ধ হবে না বলে মন্তব্য করছেন সচেতনমহল।
শনিবার (০১ জুন) রাত সোয়া ৯টার দিকে উখিয়ার ঘাট ও ঘুমধুম সীমান্তে অভিযান চালিয়ে দুই লক্ষ পিস ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা পাচারকারীকে আটক করেছে বিজিবি।
আটকৃত হলেন, উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১০ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মো: জমির হোসেনের ছেলে জিয়াবুল আলম (৩৮)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে মাদকের বড় একটি চালান পাচারের খবর পায় বিজিবি। পরে বিজিবির একটি দল ঘুমধুম কাস্টমস মোড় এলাকায় অভিযান চালায়। একপর্যায়ে সীমান্তের দিক থেকে একটি ছোট বস্তা কাধে সন্দেহজনক ৩/৪ জন লোক আসতে দেখে বিজিবির সদস্যরা। প্রথমে তাদের থামার জন্য নির্দেশ দেন। এতে বিজিবির সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে লোকগুলোর সাথে থাকা বস্তাটি ফেলে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যান।
পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে পাচারকারিদের ফেলে যাওয়া বস্তাটি উদ্ধার করা হয়। বস্তাটি খুলে পাওয়া যায় ২ লাখ ইয়াবা। আটক রোহিঙ্গা যুবকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান বিজিবির ভারপ্রাপ্ত এ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক।
এদিকে স্থানীয়রা বলছে, মাদকসহ আটক হতে দেখি ছোট খাটো মানুষ। যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরাই। তাদের এত টাকা কিভাবে হয় কোটি টাকার মাদক ব্যবসা করতে। তাদের পিছনে কারা রয়েছে খতিয়ে দেখলে বেরিয়ে আসবে প্রকৃত মাদক কারবারে জড়িত ব্যাক্তিদের। যারা আটক হয় তারা বহনকারী মাত্র।