বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
ওই পারে নবী হোছন এ পারে বাবুল : নিরবে পাচার হচ্ছে মাদক,সোনা বিলুপ্তির পথে পাহাড়ি বনাঞ্চল:রক্ষার্থে নেই কোন পদক্ষেপ সীমান্ত সাংবাদিকদের দক্ষতা উন্নয়নে উখিয়ায় কর্মশালা হাসি মুখ ফাউন্ডেশন এর ৫ম বর্ষপূর্তি উদযাপন সম্পন্ন পালংখালীতে নিহত লুলু আল মরজানের কন্যা রাহমিনা মমতাজের সাংবাদিক সম্মেলন প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা! উখিয়া’র পাতাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিদায় ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। ঈদগাঁও খালে নিখোঁজের ৬ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার। লামায় যথাযথ মর্যাদায় জন্মাষ্টমী পাল। উখিয়া’র কোটবাজারে বিএনপির ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

মনখালী স:প্রা: বিদ্যালয়ে অনার বোর্ডে স্থান হলো না প্রয়াত’ প্রধান শিক্ষাগুরুদের

এম ফেরদৌস (উখিয়া কক্সবাজার) / ৩৯৪ বার
আপডেট সময় : শনিবার, ২০ মে, ২০২৩
প্রতিষ্ঠান

 

মনখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেদার উদ্দিন মাহমুদের অদুরদর্শীতা ও স্বেচ্ছাচারিতায় মনগড়াভাবে বানানো হয়েছে বিদ্যালয়ের অনার বোর্ড, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন অভিযোগ তুলেছেন ঐ প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় সচেতন ব্যাক্তিবর্গরা।

জানা যায়, বিদ্যালয়ের অনার বোর্ডে প্রায়ত’ দায়িত্বশীল প্রধান শিক্ষকদের নাম বাদ দেওয়াই মনগড়া অনার বোর্ড টাঙিয়ে বিদ্যালয়কে সমালোচনার মুখে ঢেলে দিয়ে সুনামক্ষুন্ন করা হয়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থেকে শুরু করে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নিয়মতান্ত্রিক অনুযায়ী অনার বোর্ডে প্রয়াত’ ও ধারাবাহিকভাবে দায়িত্বপালন করা ব্যাক্তিদের নাম রাখা প্রাতিষ্ঠানিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীলতাদের কাজ। প্রতিটি দায়িত্বশীল ব্যাক্তি নিজ কর্মের সমাপ্তি ঘটার পর তার স্মৃতি হিসাবে বা নতুনপ্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দিতে ঐ প্রতিষ্ঠানের অনার বোর্ডে নাম লিখানো হয় সাবেক দায়িত্বশীলদের।
কিন্তু এসবের তোয়াক্কা না করে মনখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক সাবেক প্রধানদের নাম বাদ দিয়ে বিদ্যালয়ে টাঙিয়ে দিয়েছে অনার বোর্ড। সেখানে রয়েছে সহকারী শিক্ষকের নামও কিন্তু রাখা হয়নি ‘প্রায়ত’ প্রধান শিক্ষকগনদের নাম।

১৯৫৫ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৩ সালে এসে বিদ্যালয়টি সরকারি মর্যাদা লাভ করে। তৎকালীন সময় থেকে এ বিদ্যালয়কে আলোক মুখ দেখিয়ে সুনামের সহিত ধারাবাহিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপালন করে গেছেন অনেক প্রধান শিক্ষকগনরা। এদের মধ্যে অন্যতম নুরুল কবির, শরীফ আহমদ, ফজলুল করিম, ছৈয়দ আলম, আজিজুল হক দুলাল, বদিউল আলম, শামশুদ্দিন আহমদসহ আরো অনেকেই এ বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু বর্তমানে এসে ২০০৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত চলমান একটি অনার বোর্ডে সহকারী ও ভারপ্রাপ্তদের নাম প্রধানদের কাতারে এনে প্রায়ত’ প্রধানদের নাম বাদ দিয়ে বিতর্কিত হলেন বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়।

সেখানে উঠে এসেছে, যারা প্রতিষ্ঠানের মূল চালিকাশক্তি শিক্ষকরা তথা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যারা মুখ্য ভূমিকা পালন করে গেছেন এবং মহৎ শিক্ষাদান কার্যক্রমে নিয়োজিত থেকে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়ন এবং কল্যাণ সাধনে যাদের অবদান অনস্বীকার্য তাদের নাম এই অনার বোর্ডে স্থান পেলো না। এতে ভবিষ্যত প্রজন্মরা এই বিদ্যালয় থেকে কি শিখবে এবং কি জানবে। এমন মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই অনার বোর্ড নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির জন্ম নেয়।

এ বিষয় নিয়ে বর্তমান প্রধান শিক্ষক বেদার মাহমুদ জানাই, আমার দায়িত্ব পাইলনের আগে যে প্লাস্টিকের অনার বোর্ড সেটি চেইঞ্জ করে শুধু আমার নাম টা বসিয়েছি। এর আগে কারা ছিল সেটা তো আমি জানি না। তাছাড়া আমার আগে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তারা কেন ধারাবাহিকভাবে অনার বোর্ড করে নাই?। যাইহোক, আমি সবার মতামতের উপর ভিত্তি করে আগে যারা দায়িত্বপলন করেছেন তাদের নাম সংগ্রহ করে নতুন অনার বোর্ড করব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
%d bloggers like this:
%d bloggers like this: