এম ফেরদৌস ( উখিয়া কক্সবাজার)
উখিয়ার বালুখালীতে পৈতৃকদানপত্র ও মিরাজী সম্পত্তি ভাইয়ের কাছ থেকে দীর্ঘবছর পর উদ্ধার করলেন বোন।
জানা যায়, বালুখালীর মৃত আব্দুল মোনাফের ছেলে আব্দুল গনি একাই পিতার সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে বোনদের ভাগ থেকে বঞ্চিত করে আসছিল।
রেকর্ড ও কাগজপত্র পর্যালোচা করে জানা যায়, বালুখালী পানবাজার এলাকার পশ্চিমে মৃত আব্দুল মোনাফের মেয়ে খুরশিদা বেগমকে বিগত ২০০৬ সালের ৫ জুন ০-০০ তিন ভাগের এক শতক জমির উপর নির্মাণাধীন দোকানগৃহের ভোগদখলীয় প্লট ৩০০ টাকা মূল্যের স্টাম্পে দানপত্র সম্পাদন করেন।
এতে ১ নাম্বার স্বাক্ষী হিসাবে স্বাক্ষর করেন বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী।
খুরশিদা বেগম অভিযোগ করেন, তার ভাই আব্দুল গনি উক্তদানকৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক ভোগদখলে রেখে আজ দেবে কাল দেবে বলিয়া কালকেপন করিতে থাকে। এ বিষয়ে স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যাক্তিবর্গের মাধ্যমে কয়েকদফা শালিশি বৈঠক হয়। এ বৈঠকে তার দানপত্র মুলে সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার জন্য শালিশকারকরা সিদ্ধান্ত দেন। তাদের এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ থাকেন আব্দুল গনি। পরে থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে আবারো বৈঠক হয়। থানায় এ বৈঠকেও কাগজপত্র মুলে পুনরায় সিদ্ধান্ত দেন এই সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার জন্য। ফেরত না দিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশওপ্রদান করা হয়।
এ সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে আব্দুল গনি গায়ের জোরে প্রভাব কাটিয়ে বোনের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য বহাল তবিয়তে রয়েছে।
আজ ( ১৫ আগস্ট) বিকালে ৪ টার দিকে খুরিশদা বেগম ও অপরাপর আত্মীয় স্বজনরা সম্পত্তিখানা দখলবাজদের কাছ থেকে উদ্ধার করেন।
বর্তমানে উক্ত স্থানে আব্দুল গনির অবৈধ ভাড়াটিয়া আবুল আওয়ালকে প্রকৃত মালিক খুরশিদা বেগমের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। এতে সেই সম্মতি প্রকাশ করেন।
খুরশিদা বেগম উখিয়া গরুবাজার সংলগ্ন এলাকার বিদেশ প্রবাসী হারুনুর রশিদ প্রকাশ কালোর স্ত্রী।