বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
ওই পারে নবী হোছন এ পারে বাবুল : নিরবে পাচার হচ্ছে মাদক,সোনা বিলুপ্তির পথে পাহাড়ি বনাঞ্চল:রক্ষার্থে নেই কোন পদক্ষেপ সীমান্ত সাংবাদিকদের দক্ষতা উন্নয়নে উখিয়ায় কর্মশালা হাসি মুখ ফাউন্ডেশন এর ৫ম বর্ষপূর্তি উদযাপন সম্পন্ন পালংখালীতে নিহত লুলু আল মরজানের কন্যা রাহমিনা মমতাজের সাংবাদিক সম্মেলন প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা! উখিয়া’র পাতাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিদায় ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। ঈদগাঁও খালে নিখোঁজের ৬ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার। লামায় যথাযথ মর্যাদায় জন্মাষ্টমী পাল। উখিয়া’র কোটবাজারে বিএনপির ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

উখিয়ায় দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগ

ডেস্ক রিপোর্ট, ডেইলী কক্স নিউজ। / ৮০০ বার
আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট, ২০২৩

* প্রবল ভারী বর্ষন
* তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চল
* মাঠে নামছে উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী

 

এম ফেরদৌস ( উখিয়া কক্সবাজার)::

উখিয়া-টেকনাফে অবস্থিত দুর্যোগ কবলিত স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের সহযোগীতায় উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি মাঠে নামছেন রামু সেনাবাহিনীর টিম।

সম্প্রতি চলমান প্রাকৃতিক দুর্যোগে স্থানীয় ও রোহিঙ্গাসহ কক্সবাজারে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। প্রবল ভারী বর্ষণে নিম্নাঞ্চল গুলো প্লাবিত হচ্ছে। জালিয়াপালং ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামগুলো পানিবন্দিতে দিনযাপন করছেন।

কোটবাজার রুমখাপালং এলাকায় দিয়ে বয়ে যাওয়া রেজুখালে পানির ঢল নেমে কোটবাজার থেকে মেরিনড্রাইভ সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জালিয়াপালং ইউনিয়নে রুমখাপালংসহ অন্তত ১০ টি গ্রামের মানুষ মারাত্মক ঝুঁকিতে বসবাস করছে। সেখানে উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাল পতাকা দিয়ে বিপদজনক সংকেতও দেওয়া হয়ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ভারপ্রাপ্ত) সালেহ আহমেদ জানান, অতি ভারী বর্ষনে বন্যা কবলিত মানুষদের নিরাপদ আশ্রয় স্থানে চলে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটা ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যোগাযোগের জন্য একটু কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে।

জালিয়াপালং ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতা শাহাব উদ্দিন জানান, নিম্নাঞ্চল গুলো প্লাবিত হয়েছে, তবে এখনো বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এরকম আরো ১/২ একদিন ভারী বর্ষণ হলে অনেক বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো তদারকি রাখা হচ্ছে।

এদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গতকাল পাহাড়ধসের ঘটনায় মা মেয়ের মৃত্যুর হয়। ঘটনার পরে ক্যাম্পের অধিকাংশ পাহাড়ধস প্রবন এলাকায় সেনাবাহিনীসহ অন্যন্য দায়িত্বশীলরা তাদের সতর্কতার পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে। সেখানে আবার অনেক শিবিরগুলো নিম্নাঞ্চল হওয়ায় পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে তাদের সহযোগীতার জন্য সেনাবাহিনীর টিম কাজ করছে।

৯নং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা বুজুরুছ মিয়া প্রতিবেদককে জানান, আমাদের ঘর গুলো কিছু নিচে কিছু উপরে। বেশি বৃষ্টি হলে বৃষ্টির পানিতে মাটি নরম হয়ে মাটি ঘরে চাপা পড়ে। রাতে আমাদের অনেক ভয় হয়। আবার কিছু নিচে সেখানে পানি উঠে ঘরে রান্নাবান্না করতে পারে না। এনজিও থেকে কিছু পেলে সেগুলা খেয়ে বেচে থাকতে হয়। এই হলো আমাদের অবস্থা।

সেনাবাহিনীর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়ছে, বন্যায় কবলিত রোহিঙ্গাসহ স্থানীয়দের যেখনো সহায়তার জন্য একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
%d bloggers like this:
%d bloggers like this: